দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়

পেটের গ্যাস একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকেরই সামান্য খাবার গ্রহণের পর অনুভব করে, পেট ফুলে ওঠা অসুস্থ এবং ব্যথা হতে পারে এসব লক্ষণ কে গ্যাসের সমস্যা বলে। চলুন গ্যাস ভালো করার দারুন উপাই সম্পর্কে জেনে নেই।
দ্রুত_পেটের_গ্যাস_কমানোর_ঘরোয়া_উপায়

তবে আজ আমরা কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব। পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনার গ্যাস কমাতে সাহায্য করবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়


দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় পাকস্থলীতে অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ হলে পেটে এসিড বা গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খায় এই খাবার সময় মতন না খাওয়ার কারণে এই গ্যাসের সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল, কফি পানের কারণে ও পেটের গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে, তএছাড়া মসলা জাতীয় খাবার খেয়ে,  ভাজা পোড়া খাবার অতিরিক্ত মদ্দপানের মাধ্য ধূমপান করলে রাতে ঘুমানোর সময় খাবার খাওয়া খাবার খাওয়ার পর পর শুয়ে পড়ার ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে  ঘুমানোর সময় খাবার খাওয়া খাবারেরে পরে সাথে সাথে শুয়ে পোড়ার কারনে গ্যাসএঁর ধালাই

খাবারের উপর নজর দেওয়া

খাবারের উপর নজর দেওয়া, দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় এরজন্য আপনাকে প্রথমে খাবারের দিকে নজর দিতে হব।  কিছু খাবার গ্যাস সৃষ্টি করতে সহায়তা করে যেমন দুধ, কলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, বিনস ইত্যাদি। 
তোমরা যদি একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখি তাহলে দেখা যাবে আমাদের দেশে প্রতিদিন যা অন্যান্য ওষুধ বিক্রি হয় তার চেয়ে গ্যাসের ওষুধ প্রচুর পরিমাণে বেশি বিক্রি হয়। 
তাই আমাদের যে খাবার গুলো খেলে গ্যাস বেশি হয় সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে এবং যে খাবার গুলো খেলে গ্যাস হয় না তা গ্রহণ করতে হবে, এতে করে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হবে। 

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে গরম পানির ব্যবহার

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে গরম পানিরা ব্যবহার, দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর কার্যকারী উপায় হলো, গ্যাস কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুততম উপায় হল গরম পানি পান করা। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় হল গরম পানি আমাদের তন্ত্রের বেশি কে শীথিল করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। গরম পানি আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করে। প্রতিদিন সকালে এবং দুপুরে এক গ্লাস গরম পানি পান করতে পারেন, এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার দূর হয়ে যাবে। 

কলা খাবার মাধ্যমে পেটের গ্যাস কমান

কলা খাবার মাধ্যমে পেটের গ্যাস কমান কলা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়, কলাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি বিদ্যমান থাকে, কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক এন্টাসিড যা এসিড রিফ্লাক্স এর বিরুদ্ধে একটি বাফার প্রতি রোদ হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনার কখনো আর গ্যাস অম্বরে সমস্যা হবে ন।  কিন্তু এই কলা বেশি পরিমাণ খেলে পেটের সমস্যা হয়ে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রতিদিন কলা খান নিয়ম করে একটি করে। 
সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে, বিভিন্ন প্রকার বিনস এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। 
কমলা: কমলার মাধ্যমে পেটের গ্যাস কমানোর উপায় কমলা আমাদের পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যার কারনে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 
দ্রুত_পেটের_গ্যাস_কমানোর_ঘরোয়া_উপায়

শসা: শসাতে যেহেতু শতকরা ৯৫% পানি থাকে যার ফলে সমস্যা আমাদের পেটকে ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকারী এবং এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেন্ট উপাদান যা পেটের গ্যাসের সমস্যা কমাই। 
পেঁপে: পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার, এতে রয়েছে পাপায়া নামে এনজাইম যা আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খেলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। 

তুলসী পাতা খাওয়ার মাধ্যমে পেটের গ্যাস্ট্রিক কমান

তুলসী পাতা খাওয়ার মাধ্যমে পেটের গ্যাস্ট্রিক কমান, তুলসী গাছ ঔষুধি গুনে ভরপুর। তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মত পদার্থ উপাদান বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় তুলসী পাতাতে রয়েছে শীতলীকরণ এবং বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস থেকে গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাই। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে প্রতিদিন আপনার ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। অথবা তিন থেকে চারটি তুলসী পাতা সেদ্ধ করে পাতার রস  টুকু মধু দিয়ে পান করুন।  

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পুদিনা পাতার ব্যবহার 

গ্যাস্টিকের সমস্যায় পুদিনা পাতার ব্যবহার পুদিনা পাতা এসিড নিঃসরণের গতিকে কুমিয়ে দেই এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়, এটি পেটের মাংসপেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং গ্যাস নির্গমন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। পুদিনা পাতা সাহায্য করে পেটের ব্যথা কমায় এবং গ্যাসের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে 
পুদিনা চা করে আমরা খেতে পারি, তারজন্য পুদিনা পাতার কয়েকটি পাতালেন এবং একটি কাক গরম পানিতে ফেলে দিন 
পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভেজে দেখুন এবং তারপর পান করুন আপনি চাইলে সাতে মধু যোগ করেও খেতে পারেন। 

মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন

 মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন আমাদের গ্যাস্ট্রিকের গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ মশলা বা তেল জাতীয় খাবার খাওয়া। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় মশলাযুক্ত বা তেল যুক্ত খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়িয়ে দিতে পারে কারণ তারা পেটের হজ্বমে বাধা সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত এসিড তৈরি করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়ে গেছে ভাজাপোড়া,হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন গ্যাস, যাতে করে আমাদের পেট সহজ সরল সুস্থ থাকে। 

আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া 

আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রতিদিন যে খাবার খায় তা যেন ফাইবার বা আসবে তো খাবার হয়।কারো আঁশ জাতীয় জাতীয় খাবার হজম প্রক্রিয়াকে মুসৃন করে করে এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়, ফল শাকসবজি ডাল শস্য দানা ইফতারি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
দ্রুত_পেটের_গ্যাস_কমানোর_ঘরোয়া_উপায়

তবে এই অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণ করলে কিছু কিছু মানুষের গ্যাস বা পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে  তাই এসব খাবার একবারে খাবার তালিকায় যুক্ত না করে ধীরে ধীরে খাবার তালিকা যুদ্ধ করুন। 
ফাইবার যুক্ত খাবারের তালিকা 
  • পালংশাক, মটর শুটি, গাজর, কুমড়ো 
  • আপেল, নাশপাতি, জাম 
  • ব্রাউন রাই,  ওটস, বাদাম ইত্যাদি।

অতিরিক্ত শর্করা বা চিনির খাবার এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত শর্করা বা চিনির খাবার এড়িয়ে চলতে হবে খাবারে অতিরিক্ত শর্করা বা সুগার খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণে শর্করা খেলে গ্যাস উৎপাদন হতে পারে, যা পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই অতিরিক্ত চিনি বা শর্করাযুক্ত খাবার যেমন কেক, মিষ্টান্ন, সফট ড্রিঙ্কস ইত্যাদি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য সীমিত করা

ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য সীমিত করা কিছু কিছু মানুষ ডিম বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে গ্যাস ও পেটের অস্বস্তি অনুভব করে। তাই এই ধরনের খাবার যেমন দুধ, পনির, দই, মাখন ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি এই খাবারগুলো আপনার পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তাহলে এগুলোর খাবার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।

প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গোলমরিচ, এলাচ ও ধনেপাতা

প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গোলমরিচ, এলাচ ও ধনেপাতা গ্যাস কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী। এগুলো হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং পেটের অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, ধনেপাতা ও এর ভেষজ গুণের জন্য পেটের গ্যাস ও অস্বস্তি দূর করতে সহায়তা করে।
গোলমরিচ
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা পেটের গ্যাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
ব্যবহার:এক চিমটি গোলমরিচ গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

দারুচিনি: হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত দারচিনির গুড়া খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস চিরতরে চলে যাবে। 

আমার মতামত

বর্তমানে পেটের গ্যাস্টিক বা অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু সহজ এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন, তাহলে পেটের গ্যাস কমানো সম্ভব। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় পুদিনা পাতা, আদা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলি কার্যকরী হতে পারে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং শারীরিক সক্রিয়তা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। যদি গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে বা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এতক্ষণ ধরে পপুলার আইটি সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে  পপুলার আইটির সাথেই থাকুন। আপনারা কি কি বিষয় জানতে চান তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পপুলার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url